যশোরে বিচারকের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে ভুয়া এফিডেভিট তৈরি করে পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন যশোরের শার্শার কাগজ পুকুরের মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী তনিমা তাসনুভা। আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে যশোরের শার্শা উপজেলার কাগজ পুকুরের মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী তনিমা তাসনুভা। ফিলিং স্টেশন এবং এর জমি তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। ফিলিং স্টেশনের যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক থাকায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ অধিদফতর খুলনা সনদপত্র প্রদান করে।
এসকল কাগজপত্রের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তনিমা ফিলিং স্টেশনটি পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু আসামি আনেয়ার হোসেন ও জামাল হোসেন পরস্পর যোগসাজশে অপর আসামি ইব্রাহিম হোসেনের সহায়তায় একজন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে একটি ভুয়া এফিডেভিট তৈরি করে।
এফিডেভিট মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশনের সাবেক স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়ারও জাল স্বাক্ষর করা হয়। এই ভুয়া এফিডেভিটের মাধ্যমে আসামিরা মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশন দখলের চেষ্টা চালায়।
বিষয়টি তনিমা তাসনুভা জানতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে ৩ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেন। এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, আসামিরা এলাকায় নেই, তারা পলাতক রয়েছে। সে কারণে আসামি আটক সম্ভব হচ্ছে না।
টিএইচ